Pages

বুধবার, ৮ জুন, ২০১৬

ঈদ-উল ফিতরের আগেই এলইডি লাইটের আলোয় আলোকিত হবে যশোর শহর


ঈদ-উল ফিতরের আগেই এলইডি লাইটের আলোয় আলোকিত হবে যশোর শহর
যশোর পৌরবাসীকে রাতে আর আলো আঁধারীতে পথ চলতে হবে না। আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের আগেই এলইডি লাইটের ঝলমলে আলোয় আলোকিত হচ্ছে পুরো শহর। জনজীবনে রাতে চলাচলে নতুন মাত্রায় মুগ্ধতা আনতে প্রাথমিকভাবে মণিহার থেকে চৌরাস্তা-দড়াটানা হয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত আলোকিত করা হবে ঈদের আগেই। যশোর পৌরসভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 
যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু জানান, পৌর নাগরিকদের উন্নত সেবা প্রদানে আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার। বিশেষ করে আমার মনের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে এ সেবা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান। 
আলাপচারিতায় মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলার রেন্টু বলেন, জলাবদ্ধতা দূর করে পৌরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার জন্য কাজ করছি। তবে জলাবদ্ধতা নিরসন দ্রুত করা সম্ভব নয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ দ্রুততার সাথে চলছে। খুব শীঘ্রই পৌরবাসী এর সুফল পাবেন। তবে রাতে নির্বিঘেœ চলাচলে যশোর শহর আলোকিত করার ব্যপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উন্নতমানের হাই পাওয়ারের দীর্ঘস্থায়ী এলইডি লাইট ব্যবহার করে আলোকিত করা হবে যশোর শহর। 
পৌর নাগরিক সেবা প্রদানে যে কোন বাঁধা অতিক্রমের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোর। ঐতিহ্যবাহী জেলার পৌরসভায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। পৌরবাসী সব সময়ই তাদের প্রাপ্য সেবা বঞ্চিত। পৌরনির্বাচনের আগে গণসংযোগে প্রতিটা অলিতে গলিতে গিয়ে মানুষের দুরাবস্থা নিজ চোখে দেখেছি। প্রায় সব এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভাঙাচোরা রাস্তা, সড়ক বাতির অভাব। এসব দুরাবস্থা নিরসনে যথাসম্ভব কাজ করে চলেছি। 
তিনি বলেন, নির্বাচিত হয়েছি সেবা প্রদানের জন্য। তাই যশোর পৌরবাসীকে প্রথম শ্রেণীর যাবতীয় সেবা প্রদান করে এ পৌরসভাকে স্বপ্নের মতো সাজাতে চাই। তিনি বলেন, ফান্ড সংগ্রহ করে নতুন নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরসভাকে নবআঙ্গিকে গড়ে তোলা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে নাগরিকের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান তুহিন জানান, ইতোমধ্যে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে বকুলতলা মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল থেকে দড়াটানা হয়ে মুজিব সড়কের সিভিল কোর্ট মোড় পর্যন্ত ৩৭টি নতুন বৈদ্যুতিক পোল বসানো হয়েছে। যেখানে খরচ হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলার রেন্টুর পরিকল্পনায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড় থেকে দড়াটানা, গাড়ীখানা, চৌরাস্তা, আরএন রোড হয়ে মণিহার পর্যন্ত পিডিবির স্থাপিত ১শ’টি  বৈদ্যুতিক পোলে ১শ’টি নতুন উন্নতমানের হাই পাওয়ারের দীর্ঘস্থায়ী এলইডি লাইট দিয়ে ঈদের আগেই শহর আলোকিত করা হবে। এ বাবদ আনুমানিক ২০ লাখ টাকা খরচ হবে বলে তিনি জানান। 
তিনি আরো জানান, নতুন খয়েরতলা ভাস্কর্যের মোড় থেকে বিমান অফিস মোড় হয়ে কারবালা কবরস্থান হয়ে মুসলিম একাডেমী পর্যন্ত ১শ’টি নতুন বৈদ্যুতিক পোল স্থাপন করে এলইডি লাইটে আলোকিত করার কাজও চলছে। যা ঈদের পরে সম্পন্ন হবে। এছাড়া ভোলাট্যাংক রোড থেকে রেলরোড হয়ে চৌরাস্তা পর্যন্ত এ কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করার প্রস্ততি চলছে বলে তিনি জানান। যশোর পৌর এলাকা আলোকিত করতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ হবে বলে তিনি জানান।
  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন