Pages

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

কুখ্যাত মাদকসম্রাট একছের পালবাড়ি এলাকায় বিশাল নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে

মাদক ব্যবসায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কুখ্যাতি অর্জন করা বহুলাচিত মাদকসম্রাট একাধিক মামলার আসামি একছের আলী আটক হচ্ছে না। একছেরসহ তার সহযোগীরা দাপটের সাথে মাদক বিকিকিনি করে চলেছে। চৌগাছার কাবিলপুর থেকে যশোরের পালবাড়ি মোড়ে আস্তানা গেড়ে চালাচ্ছে বড় ধরণের নেটওয়ার্ক। শান্তিপ্রিয় মানুষ এলাকায় মাদক প্রতিরোধ করতে দ্রুতই একছের আলী গংয়ের আটক দাবি করেছেন। এদিকে এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছেন, একছেরকে দেখা মাত্রই আটক করা হবে। এ ব্যাপারে একজন অফিসারকেও তিনি দায়িত্বও দিয়েছেন।  
যশোরের পালবাড়ি এলাকার কয়েটি স্পটে ডজন দুয়েক সাগরেদ নিয়ে মাদক মোকাম চালু করেছে চৌগাছার বড় কাবিলপুরের আব্দুস সাত্তারের ছেলে কুখ্যাত মাদক কারবারী একছের আলী। চক্রের সবার নামে একাধিক মামলা থাকলেও তারা প্রকাশ্যে এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মাদক বিকিকিনি করে এলাকাসহ এঅঞ্চলের পরিবেশ কলুষিত করে চলেছে। যশোরের পালবাড়ি এলাকায় অবস্থান করে একছের আলী যথেচ্ছা কারবার করছে। অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে শায়েস্তা করতে নানা অপকৌশল নিয়ে থাকে। মাদক ব্যবসার স্থানীয় উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে শফিকুল মেম্বার। 
যশোরাঞ্চলে মাদক প্রতিরোধে একছের গংকে আটক দাবি করেছে শান্তি প্রিয় মানুষ। একছের আলী, শফিকুল ইসলাম মেম্বার, লিটন মাহমুদ, নাজিম উদ্দিন, কারিমুল, বিল্লাল ও আরিফ হোসেনকে আটকের দাবিতে দেয়া স্মারকলিপি দেয়। এরপরও বহাল তবিয়তে রয়েছে তারা। ২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে যশোরের শেখহাটি বাবলা এলাকায় অস্ত্র-গুলি ফেলে পালিয়ে যায় এই একছের। ওই সময় আটক হয় পূর্ব বারান্দিপাড়া ফুলতলার নিয়ামত আলী গাজীর ছেলে কুখ্যাত অপর মাদক ব্যবসায়ী আবু তালেব। তবে আবু তালেব এখন বাইরে। ওই সময় একছেরকে পলাতক আসামি করে অস্ত্র আইনে মামলা দেয়া হয়। পালিয়ে যাওয়া চৌগাছার একছের আলীকে আটকে অভিযান চললে আটক এড়াতে মোটা অংকের অর্থ ছড়ায়। মোবাইলের সিম পাল্টিয়ে আর মোবাইল চৌকি বসিয়ে যশোরে কয়েকটি সিন্ডিকেট দিয়ে নয়া স্টাইলে মাদক ব্যবসার রমরমা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে একছের আলী। তার লোকজনদের কেউ কেউ মোবাইল সাথে রেখে পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে পাহারা দিয়ে থাকে। পুলিশ আসলেই আগে থেকে খবর পৌঁছে দেয় তার পালবাড়ি এলাকার ডেরাগুলোতে। আর পাহারা বসিয়ে অনেকটা নিরাপদেই যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদকের চালান নিয়ে আসছে সে ও তার লোকজন। 
এক সময় চৌগাছা, শার্শা বেনাপোল এলাকায় মাদক ব্যবসা চালালেও এখন গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তার নেটওয়ার্ক। যশোরের পালবাড়ি এলাকার উঠতি সন্ত্রাসীসহ নেতাগোছের লোকজনকে সে এক দালালের মাধ্যমে ম্যানেজ করে। আর পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অসাধু সদস্যকে ম্যানেজ করতে রয়েছে তার আরও দুজন। শার্শার রুদ্রপুর-কাশীপুর, গোগা, শিকারপুর, হরিশচন্দ্রপুর, বেনাপোলের পুটখালী, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, সাদিপর, বড়আঁচড়া, রঘুনাথপুর দিয়ে তার মাল সরাসরি যশোরে চলে আসছে। এর মধ্যে বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় যশোরে প্রবেশ করাচ্ছে সে। ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবাসহ নানা ভার্সনের মাদক বিকিকিনি রাজ্যের এ অঞ্চলের প্রধান বনে গেছে একছের আলী। আর সে আটক না হওয়ায় পুলিশি ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দারুন ভাবে। বহুলালোচিত মাদক কারবারি একছের আলী তার লোকজনদের কেউ কেউ মোবাইল সাথে রেখে পুলিশ ও আইন প্রযোগকারী সংস্থার লোকজনকে পাহারা দেয়। পুলিশ আসলেই আগে থেকে খবর পৌঁছে দেয় তার ডেরা গুলোতে। যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদকের চালান নিয়ে আসছে সে ও তার লোকজন। যশোরের পালবাড়ি এলাকার উঠতি সন্ত্রাসীসহ নেতাগোছের লোকজনকে সে এক দালালের মাধ্যমে ম্যানেজ করে। শার্শার রুদ্রপুর-কাশীপুর, গোগা, শিকারপুর, হরিশচন্দ্রপুর, বেনাপোলের পুটখালী, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, সাদিপর, বড়আঁচড়া, রঘুনাথপুর দিয়ে তার মাল সরাসরি যশোরে চলে আসছে। ফেন্সিডিল, হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবাসহ নানা ভার্সনের মাদক বিকিকিনি রাজ্যের এ অঞ্চলের প্রধান বনে গেছে একছের আলী। 
এ ব্যাপারে কথা হয় যশোর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেনের সাথে। তিনি জানান একছেরকে ধরার জন্য কয়েকজন অফিসার খোঁজ খবর নিচ্ছেন। দেখামাত্রই সে আটক হবে। এব্যাপারে তথ্যগত সহায়তাও চান তিনি।
  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন